স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যায় দোষী সাব্যস্ত নলিনী শ্রীহরণসহ ছয়জনকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারা সবাই এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত।
শুক্রবার তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
এর আগে গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট তার বিশেষ ক্ষমতায় পেরারিভালান নামে আরেক দোষীকে মুক্তি দিয়েছিল। তিনি ৩০ বছর কারাভোগ করেছেন। আদালত বলেছে, অন্য আসামিদের ব্যাপারেও একই আদেশ কার্যকর হবে।
১৯৯১ সালের ২১ মে শ্রীপেরুমবুদুরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দায়ে এই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালত তাদের সাজা ঘোষণা করে। তারপর ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ছয়জনকে সাজা মুক্তির ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর পেরুমবুদুরে নির্বাচনী সভা করছিলেন রাজীব গান্ধী। সেই সময়ই তার ওপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করা হয়। জানা যায়, যে ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটান তিনি হলেন থেনিমোরি রাজারত্নম। ঘটনায় কাঠগড়ায় নাম উঠে আসে এলটিটিই বা লিবারেশন অফ তামিল ইলাম সংগঠনের। যারা শ্রীলঙ্কায় কার্যত ত্রাস হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কায় কার্যত তামিলদের এই সংগঠন ক্রমেই নেতিবাচক কারণে উঠে আসতে থাকে খবরের শিরোনামে।
তামিলনাড়ুতে রাজীব যখন প্রচারে মত্ত ছিলেন তখনই ভারতের শান্তিবাহিনী শ্রীলঙ্কায় নিজের অপারেশনে ছিল। সেই সময়ই এলটিটিইর নলিনীসহ একাধিক সদস্য রাজীব হত্যাকাণ্ডের অংশ হয়ে ওঠে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয় তাদের। পরে উঠে আসে সাজায় ক্ষমাপ্রদর্শনের ইস্যু। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভারতের শীর্ষ আদালত ছয়জনকে এই মামলায় সাজা মুক্তির নির্দেশ দিলো।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস, এনডিটিভি